অন্যের সয়-সম্পদ, জ্ঞান বুদ্ধি, মান-ইজ্জত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ইত্যাদি ভালো কিছু দেখে মনে কষ্ট লাগা এবং সেটা না থাকুক বা ধ্বংস হয়ে যাক এমন ইচ্ছা পোষণ করাকে হিংসা বা ঈর্ষা বলে। হিংসার জ্বলন্ত আগুনে হিংসুক নিজে যেমন জ্বলে পুড়ে শেষ হয়,সেই সাথে আরো দশজনকেও পোড়ায়। হিংসা একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যধি,যার ফল অত্যন্ত বিষময় ও ক্ষতিকর৷ হিংসা সামাজিক বন্ধন গুলোর ভাঙ্গন সৃষ্টি করে। আপনার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা আপনাকে হিংসা করে। আপনি হয়তো আপনার মতো নির্বিঘ্নে জীবন কাটান, সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলেন, কারও সাথেপাঁচে আপনি থাকেন না। অর্থাৎ আপনি ভালো থাকতে চান, নিজের সফলতা নিয়ে আপনি নিজেই খুশি। কিন্তু আপনার এই সুখ, আনন্দ আর সফলতা দেখে অনেকেই কিন্তু পিছনে দু-চার কথা বলে, আপনাকে অনেকটা ঈর্ষাই করে। এ বিষয়ে চাইলেই আপনি একটু খেয়াল রাখতে পারেন। এদেরকে কিভাবে চিনবেন, তা নিয়েই আজকের লিখা। পয়েন্টগুলো মাথায় রাখবেন।
১। আপনার নামে কি কেউ গুজব রটাচ্ছে? আপনি যখন কোনো কাজে সফল হবেন,তখন অনেকে আপনার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হবে। এরা আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট করার জন্য বন্ধু মহলে আপনার নামে গুজব রটাবে। এই মানসিকতার বন্ধুদের এড়িয়ে চলতে শিখুন। এদের সাথে যথাসম্ভব কম কথা বলতে হবে।
২। কেউ কি আপনার বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টা করছে? যাদের সাথে আপনার সুসম্পর্ক আছে,তাদের সাথে কে কে নতুন করে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে? এরা আপনার বন্ধুদের/ভাইদের/ বসদের সাথে মিশে তাদের কান ভারী করে,আপনার নামে নানান বাজে কথা বানিয়ে বলে। আপনার আর আপনার বন্ধুদের মধ্যে বন্ধুত্বের ফাটল ধরায়। এদেরকে এড়িয়ে চলুন।
০৩। সবাই আপনার সাফল্যের জন্য আপনাকে বাহবা দিচ্ছে, অথচ কেউ আপনাকে সবসময় ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছে। প্রকাশ্যে বাহবা তো দিচ্ছেই না, বরং মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছে। বুঝবেন, তিনি আপনাকে ঈর্ষা করেন।
০৪। আপনাকে কি কেউ অনুসরণ করছে? আপনি যেপথে হেটে সফল হয়েছেন,সে পথেই কেউ হেটে সাফল্য অর্জন করতে চাইছে? তাহলে বুঝবেন তিনি আপনাকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইর্ষা করে। এধরনের ব্যক্তিদের প্রতি সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন।


0 Comments